Site icon Global icon news

যে ধরনের Password Hacks হয় বেশি

যে ধরনের Password Hacks হয় বেশি

যে ধরনের Password Hacks হয় বেশি

পাসওয়ার্ড হল আমাদের ডিজিটাল নিরাপত্তার প্রথম স্তর। কিন্তু দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবস্থাপনা বা সাইবার অপরাধীদের আধুনিক কৌশলের কারণে Password Hacks একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রবন্ধে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব—কোন ধরনের Password Hacks সবচেয়ে বেশি হয়, কিভাবে হ্যাকাররা পাসওয়ার্ড চুরি করে এবং কিভাবে আপনি নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।

Password Hacks কি?

পাসওয়ার্ড হ্যাকিং বলতে বোঝায় কোনো ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট বা সিস্টেমে অননুমোদিত প্রবেশের জন্য তার পাসওয়ার্ড চুরি বা ক্র্যাক করার প্রক্রিয়া। হ্যাকাররা বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড হ্যাক করে, যার মধ্যে কিছু পদ্ধতি অত্যন্ত সাধারণ এবং কিছু অত্যন্ত উন্নত।

সবচেয়ে বেশি হওয়া Password Hacks পদ্ধতিসমূহ

১. ব্রুট ফোর্স অ্যাটাক (Brute Force Attack)

কি?
ব্রুট ফোর্স অ্যাটাকে হ্যাকাররা স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে সম্ভাব্য সকল পাসওয়ার্ড কম্বিনেশন চেষ্টা করে।

কিভাবে কাজ করে?

প্রতিরোধ:

২. ডিকশনারি অ্যাটাক (Dictionary Attack)

কি?
এটি ব্রুট ফোর্সের মতো, তবে শুধুমাত্র সাধারণ শব্দ বা পাসওয়ার্ড লিস্ট ব্যবহার করে।

কিভাবে কাজ করে?

প্রতিরোধ:

৩. ফিশিং (Phishing)

কি?
ফিশিং হল একটি সোশিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং আক্রমণ যেখানে হ্যাকাররা ভুয়া ইমেইল বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড চুরি করে।

কিভাবে কাজ করে?

প্রতিরোধ:

৪. কিলোগিং (Keylogging)

কি?
কিলোগার একটি ম্যালওয়্যার যা আপনার কীবোর্ডের প্রতিটি কী-স্ট্রোক রেকর্ড করে হ্যাকারদের কাছে পাঠায়।

কিভাবে কাজ করে?

প্রতিরোধ:

৫. ক্রেডেনশিয়াল স্টাফিং (Credential Stuffing)

কি?
হ্যাকাররা পূর্বে লিক হওয়া পাসওয়ার্ড ডাটাবেস ব্যবহার করে বিভিন্ন সাইটে লগইন চেষ্টা করে।

কিভাবে কাজ করে?

প্রতিরোধ:

৬. ম্যান-ইন-দ্য-মিডল অ্যাটাক (MITM Attack)

কি?
হ্যাকাররা আপনার ও ওয়েবসাইটের মধ্যে যোগাযোগের পথে প্রবেশ করে ডেটা চুরি করে।

কিভাবে কাজ করে?

প্রতিরোধ:

৭. সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (Social Engineering)

কি?
হ্যাকাররা মনস্তাত্ত্বিক কৌশলে আপনাকে পাসওয়ার্ড দিতে বাধ্য করে।

কিভাবে কাজ করে?

প্রতিরোধ:

কিভাবে Password Hacks থেকে বাঁচবেন?

✅ শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন (অন্তত ১২ ক্যারেক্টার, বড় হাতের-ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা ও সিম্বল মিশিয়ে)।
✅ টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (2FA) চালু করুন (OTP বা বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন)।
✅ পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করুন (যেমন: Bitwarden, LastPass)।
✅ নিয়মিত পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন (প্রতি ৩-৬ মাসে)।
✅ ফিশিং ও স্ক্যাম সম্পর্কে সচেতন হোন (অপরিচিত লিঙ্ক এড়িয়ে চলুন)।

Password Hacks একটি বড় সাইবার হুমকি, তবে সচেতনতা ও সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আপনি নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন। এই গাইডে আলোচিত ব্রুট ফোর্স, ফিশিং, কিলোগিং, ক্রেডেনশিয়াল স্টাফিং ইত্যাদি পদ্ধতি সম্পর্কে জানা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন:

Laptop charge রেখেই কাজ করে যে ভুল করছেন

ফোন চুরি হলে Photos and videos recover করা সম্ভব

যে ৫ কাজে ChatGPT হতে পারে পরম বন্ধু

Exit mobile version