Cyber attack ঝুঁকিতে পুরোনো iPhone ব্যবহারকারীরা

Cyber attack iPhone

Cyber attack হলো কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সংস্থার দ্বারা কম্পিউটার সিস্টেম, নেটওয়ার্ক বা ডিজিটাল ডিভাইসের নিরাপত্তা ভেদ করে অননুমোদিত প্রবেশ বা ক্ষতি সাধনের প্রচেষ্টা। এই আক্রমণের উদ্দেশ্য হতে পারে ডেটা চুরি করা, সিস্টেম বিকল করা, ব্যবহারকারীর গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়া বা আর্থিক ক্ষতি সাধন করা। সাইবার আক্রমণ বিভিন্ন রূপে হতে পারে, যেমন ম্যালওয়্যার, ফিশিং, র্যানসমওয়্যার, ডিনাইয়াল অব সার্ভিস (DoS) আক্রমণ ইত্যাদি।

Cyber attack কেন হয়?

Cyber attack পিছনে বিভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে:

  1. আর্থিক লাভ: হ্যাকাররা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড তথ্য বা ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করে আর্থিক লাভের জন্য সাইবার আক্রমণ চালায়।
  2. ডেটা চুরি: সংবেদনশীল তথ্য যেমন ব্যক্তিগত ডেটা, ব্যবসায়িক গোপন তথ্য বা সরকারি ডেটা চুরি করা।
  3. প্রতিশোধ বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য: কিছু আক্রমণ ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে হতে পারে।
  4. সিস্টেম বিকল করা: কোনো সংস্থার কার্যক্রম ব্যাহত করার জন্য সিস্টেম বিকল করা।
  5. প্রচার বা ভীতিসঞ্চার: কিছু হ্যাকার গ্রুপ তাদের ক্ষমতা প্রদর্শন বা ভীতিসঞ্চারের জন্য আক্রমণ চালায়।

Cyber attack বিভিন্ন পদ্ধতিতে হতে পারে:

  1. ম্যালওয়্যার: ক্ষতিকর সফটওয়্যার (যেমন ভাইরাস, ওয়ার্ম, ট্রোজান হর্স) ব্যবহার করে ডিভাইসের নিরাপত্তা ভেদ করা।
  2. ফিশিং: প্রতারণামূলক ইমেল, মেসেজ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা।
  3. র্যানসমওয়্যার: ডেটা এনক্রিপ্ট করে মুক্তিপণ দাবি করা।
  4. ডিনাইয়াল অব সার্ভিস (DoS): সার্ভার বা নেটওয়ার্ককে অতিরিক্ত ট্র্যাফিক দিয়ে বিকল করা।
  5. মান-ইন-দ্য-মিডল (MITM): দুটি পক্ষের মধ্যে যোগাযোগে অনুপ্রবেশ করে তথ্য চুরি করা।
  6. জিরো-ডে এক্সপ্লয়েট: সফটওয়্যারের অজানা দুর্বলতা ব্যবহার করে আক্রমণ করা।

পুরোনো Iphone ব্যবহারকারীরা কেন Cyber attack ঝুঁকিতে?

পুরোনো Iphone ব্যবহারকারীরা Cyber attack ঝুঁকিতে রয়েছেন, বিশেষ করে যারা আইফোন ৬ বা তার আগের মডেল ব্যবহার করছেন। এই ঝুঁকির মূল কারণ হল সফটওয়্যার আপডেটের অভাব। অ্যাপল নিয়মিতভাবে নতুন iOS সংস্করণ প্রকাশ করে, যা নিরাপত্তা প্যাচ এবং নতুন বৈশিষ্ট্যগুলি অন্তর্ভুক্ত করে। তবে, পুরোনো ডিভাইসগুলি প্রায়ই সর্বশেষ আপডেটগুলি সমর্থন করে না, যার ফলে সেগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন:

সেরা দামে laptop কিনবেন যেভাবে

Whatsapp কারা আপনার ছবি দেখবে নিজেই ঠিক করুন

Facebook Payout সেটআপে ভুল হলে করণীয়

Instagram Messenger মেসেজ পিন করবেন যেভাবে

ঝুঁকির প্রধান কারণগুলি:

১. সফটওয়্যার আপডেটের অভাব: অ্যাপল সাধারণত ৫-৬ বছর পর পুরোনো ডিভাইসগুলিকে আপডেট দেওয়া বন্ধ করে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, আইফোন ৬ ব্যবহারকারীরা iOS ১২ এর পর আর আপডেট পাচ্ছেন না। এর মানে হল যে এই ডিভাইসগুলি নতুন সাইবার হুমকির বিরুদ্ধে সুরক্ষিত নয়।

২. নিরাপত্তা দুর্বলতা: পুরোনো অপারেটিং সিস্টেমে নতুন আবিষ্কৃত নিরাপত্তা দুর্বলতাগুলি ঠিক করা হয় না। হ্যাকাররা এই দুর্বলতাগুলি শোষণ করে ম্যালওয়্যার ইনস্টল করতে, ব্যক্তিগত ডেটা চুরি করতে বা ডিভাইসটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

৩. অ্যাপ সমর্থনের অভাব: অনেক অ্যাপ ডেভেলপাররা তাদের অ্যাপগুলিকে সর্বশেষ iOS সংস্করণের জন্য অপ্টিমাইজ করে। ফলে, পুরোনো অপারেটিং সিস্টেমে চলা ডিভাইসগুলিতে অনেক অ্যাপ কাজ করে না বা নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে।

৪. ব্রাউজার এবং অন্যান্য সফটওয়্যারের দুর্বলতা: পুরোনো আইফোনগুলি আধুনিক ব্রাউজার সংস্করণগুলিকে সমর্থন করে না, যা ওয়েব-ভিত্তিক আক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।

সমাধান:

১. ডিভাইস আপগ্রেড: যদি সম্ভব হয়, একটি নতুন আইফোন বা কমপক্ষে একটি নতুন মডেলে আপগ্রেড করুন যা সর্বশেষ iOS সংস্করণ সমর্থন করে।

২. সতর্কতা অবলম্বন: পুরোনো ডিভাইস ব্যবহার করার সময় অজানা উৎস থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা এড়িয়ে চলুন এবং পাবলিক Wi-Fi নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার সময় VPN ব্যবহার করুন।

৩. ডেটা ব্যাকআপ: নিয়মিতভাবে আপনার ডেটা ব্যাকআপ নিন যাতে কোনও সাইবার আক্রমণের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হারানো থেকে রক্ষা পেতে পারেন।

৪. সিকিউরিটি অ্যাপ ব্যবহার: পুরোনো ডিভাইসগুলির জন্য উপলব্ধ নিরাপত্তা অ্যাপগুলি ইনস্টল করুন, যা কিছু অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রদান করতে পারে।

কিভাবে নিরাপদ থাকা যায়?

সাইবার আক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকতে নিচের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুন:

  1. সফটওয়্যার আপডেট রাখুন: সর্বশেষ iOS আপডেট এবং সিকিউরিটি প্যাচ ইনস্টল করুন।
  2. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন: জটিল এবং অনন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং দুই-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ (2FA) সক্ষম করুন।
  3. ফিশিং থেকে সতর্ক থাকুন: অপরিচিত ইমেল, লিংক বা অ্যাটাচমেন্ট এড়িয়ে চলুন।
  4. অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন: নির্ভরযোগ্য অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করুন।
  5. ডেটা ব্যাকআপ রাখুন: নিয়মিত ডেটা ব্যাকআপ নিন যাতে র্যানসমওয়্যার আক্রমণে ডেটা হারানো থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
  6. পাবলিক Wi-Fi এড়িয়ে চলুন: পাবলিক Wi-Fi ব্যবহার করলে VPN ব্যবহার করুন।
  7. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ মুছুন: ব্যবহার না করা অ্যাপ বা সার্ভিস বন্ধ করুন।
  8. পুরোনো ডিভাইস প্রতিস্থাপন করুন: যদি সম্ভব হয়, পুরোনো ডিভাইস প্রতিস্থাপন করে নতুন এবং সুরক্ষিত ডিভাইস ব্যবহার করুন।

Cyber attack একটি ক্রমবর্ধমান হুমকি, বিশেষ করে পুরোনো ডিভাইস ব্যবহারকারীদের জন্য। সচেতনতা, সঠিক সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং নিয়মিত আপডেটের মাধ্যমে এই ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে সাইবার নিরাপত্তার গুরুত্বও বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই প্রত্যেক ব্যবহারকারীরই সতর্ক থাকা উচিত।

আরও পড়ুন:

Personal Loan Calculate কীভাবে করবেন

অনলাইনে কীভাবে Invest করবেন

বাংলাদেশ থেকে United States পোশাক রপ্তানি বেড়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *