Site icon Global icon news

Fake videos রুখতে বড় পদক্ষেপ নিলো YouTube

Fake videos রুখতে বড় পদক্ষেপ

Fake videos রুখতে বড় পদক্ষেপ

ইউটিউব (YouTube) বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে প্রতিদিন কোটি কোটি ভিডিও আপলোড এবং দেখা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ডিপফেক (Deepfake) এবং মিথ্যা তথ্য (Misinformation) ছড়ানোর মতো সমস্যা বেড়ে যাওয়ায়, YouTube ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে নতুন নীতিমালা ও প্রযুক্তি চালু করেছে। এই প্রবন্ধে আমরা YouTube-এর এই পদক্ষেপগুলোর বিস্তারিত আলোচনা করব।

১. Fake videos বা ডিপফেক কী?

Fake videos বা ডিপফেক হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে তৈরি ভুয়া ভিডিও, যেখানে কোনো ব্যক্তির মুখ বা কণ্ঠকে বাস্তবের মতো পরিবর্তন করা হয়। এর মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ, প্রতারণা বা অপপ্রচার চালানো হয়।

উদাহরণ:

২. YouTube কেন Fake videos বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে?

YouTube-এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য কন্টেন্ট নিশ্চিত করা। ফেক ভিডিওর কারণে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে:

৩. YouTube-এর নতুন নীতি ও প্রযুক্তি

Fake videos মোকাবিলায় YouTube নিচের পদক্ষেপগুলো নিয়েছে:

(ক) কন্টেন্ট লেবেলিং সিস্টেম

(খ) স্ট্রিক্ট মনিটরিং ও রিপোর্টিং

(গ) পার্টনারশিপ ও ফ্যাক্ট-চেকিং

(ঘ) এডিটরিয়াল নিয়ম কঠোর করা

৪. ব্যবহারকারীরা কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

YouTube-এর পাশাপাশি সাধারণ ব্যবহারকারীরাও কিছু উপায়ে ফেক ভিডিও চিহ্নিত করতে পারেন:

  1. সোর্স চেক করুন: ভিডিওর তথ্য অন্য বিশ্বস্ত সাইটে আছে কিনা দেখুন।
  2. অস্বাভাবিক细节 খুঁজুন: ডিপফেক ভিডিওতে মুখের অভিব্যক্তি বা কণ্ঠে অস্বাভাবিকতা থাকতে পারে।
  3. ফ্যাক্ট-চেকিং সাইট ব্যবহার করুন: Snopes, Google Fact Check Explorer ইত্যাদি ব্যবহার করে তথ্য যাচাই করুন।

৫. ভবিষ্যতে YouTube-এর পরিকল্পনা

YouTube AI প্রযুক্তির উন্নতি করে আরও কার্যকরভাবে ফেক ভিডিও শনাক্ত করতে চায়। এছাড়া, তারা ব্যবহারকারীদের সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন চালু করতে পারে।

ফেক ভিডিও এবং ডিপফেকের মতো প্রযুক্তি যেমন উন্নত হচ্ছে, তেমনি YouTube-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোরও দায়িত্ব বাড়ছে। নতুন নীতি ও প্রযুক্তির মাধ্যমে YouTube চেষ্টা করছে একটি নিরাপদ ডিজিটাল পরিবেশ তৈরি করতে। তবে, ব্যবহারকারীদেরও সচেতন থাকা জরুরি যাতে তারা বিভ্রান্ত না হন।

এই পদক্ষেপগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে, ইন্টারনেট জগতে মিথ্যা তথ্যের বিস্তার অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন:

আপনার ফোনের expiration date কবে জানেন

Instagram AI দিয়ে ছবি এডিট করতে পারবেন

Whatsapp documents Scan করতে পারবেন

Google search history একেবারে ডিলিট করবেন যেভাবে

Exit mobile version